।
গেলো ২২ নভেম্বর কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই রোডের একটি বাড়িতে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ চ্যালেন্জের ওপর হামলা চালায় একদল লোক। পরে আহতাবস্থায় চ্যালেঞ্জকে উদ্ধার করে পুলিশ। চ্যালেঞ্জ বর্তমানে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় কুষ্টিয়া সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে ছাত্রলীগ নেতা শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জের আত্মীয় ওই ভাড়া বাড়ির লোকজন।
ঘটনার বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলীকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন দলের মধ্যে থেকে যারা দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে এবং চ্যালেন্জের উপর যারা হামলা চালিয়েছে ভিডিও ফুটেজের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জের ওপর হামলার প্রতিবাদে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে প্রতীবাদ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। বুধবার বিকালে দৌলতপুর থানা বাজার এলাকায় এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়
বিক্ষোভ মিছিলে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিমেল মন্ডল বলেন, অদূরেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল। সেখানে আমাদের নেতা কুষ্টিয়ার কৃতি সন্তান মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি’র সাধারণ সম্পাদক হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা। এমতাবস্থায়, জেলার রাজনীতিকে কলুষিত করা এবং জেলা ছাত্রলীগের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করার জন্য আমাদের নেতা শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জের ওপর পরিকল্পিত ভাবে জামায়াত-বিএনপির অনুচর নামধারী ছাত্রলীগ কর্মীরা হামলা চালিয়েছে। আমরা এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি জানাচ্ছি।
জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সোহানুর রহমান বলেন, সাধারণ সম্পাদক চ্যালেঞ্জের জনপ্রিয়তা ও সুশোভিত রাজনীতিতে হিংসায় পড়ে পরিকল্পিত ভাবে ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে আমরা সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক দোষীদের শাস্তি চাই।
দৌলতপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আামন উল্লাহ আমান বলেন, সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার না হলে আমরা দৌলতপুর উপজেলা ছাত্রলীগ অনশন-ধর্মঘটের মতো কঠোর কর্মসূচিতে যাবো।
বুধবারের সমাবেশ থেকে সড়ক অবরুদ্ধ করেন বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা ও উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃস্থানীয় পর্যায়ের সাবেক বর্তমান ছাত্রলীগ নেতারা। এসময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা।