কাজী আরেফ রাজনীতি করার টাকা যোগাতেন টিউশনি করে আর এখনকার ছাত্রনেতাদের গাড়ি না হলে হয় না। তাদের আয়ের উৎসহও কারো জানা নেই। গণ-আন্দোলনের অন্যতম উদ্যোক্তা কাজী আরেফ আহমেদের ২১তম হত্যা দিবসে স্মরণসভায় বক্তারা এভাবেই স্মরণ করলেন তাকে।
আজ রবিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের কাজী আরেফ আহমেদ স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কাজী আরেফ পরিষদ। স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ডা. মাহফুজুর রহমান।
বক্তারা বলেন, কাজী আরেফ আহমেদের কথা বললে চোখে ভেসে উঠে আদর্শবাদী, সৎ একজন রাজনীতিবিদের চেহারা। বর্তমানে রাজনীতিতে আদর্শের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায় না। এতে তাদের লজ্জা না লাগলেও আমাদের লাগে।
আলোচনায় অংশ নেন, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি সভাপতি শাহরিয়ার কবির, গণআদালতের আইনজীবী জেট আই খান পান্না, সাংবাদিক হারুন হাবীব, কাজী আরেফের কন্যা কাজী আফরিন জাহান জুলি। অনুষ্ঠান সমন্বয় করেন আমিনুল হক মন্টু।
শাহরিয়ার কবির বলেন, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গঠনের পর কাজী আরেফ অসামান্য অবদান রেখেছিলেন। গণআদালত গঠনের অন্যতম একজন ছিলেন তিনি। তিনি বলেন, ১৯৬১ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু যে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন তা আওয়ামী লীগ স্বীকার করতে চায় না।
সাংবাদিক হারুন হাবীব বলেন, আরেফ আহমেদের কথা বললে চোখে ভেসে উঠে আদর্শবাদী, সৎ একজন রাজনীতিবিদের চেহারা। ওই সময়ের রাজনীতিতে মতের অমিল থাকলেও নৈতিকতার ঘাটতি ছিল না। আর এখন পরমত সহিষ্ণুতা বলে কিছু নেই। মতের অমিল হলেই অপরাধী।
এ সময় তিনি বলেন, সামনে বঙ্গবন্ধুর শতবর্ষ উদ্যাপন এবং স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে পক্ষপাতহীনভাবে স্বাধীনতা পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী ইতিহাস তুলে আনতে হবে। এর মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম উপকৃত হবে।
কাজী আরেফ আহমেদের মেয়ে কাজী আফরিন জাহান জুলি বলেন, আমি আর আমার ভাই বাবাকে খুব একটা কাছে পাইনি। তিনি সব সময় রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। অনেক চাপে থাকলেও ওনাকে কখনো বিরক্ত হতে দেখিনি।