এস এম রাহাত হোসেন ফারক, রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃ রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ তারিকুজ্জামানের পুলিশী সেবা পেতে কোন টাকা লাগবে না ঘোষণায় ২ মাসে ৩৮টি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পেল স্থানীয় বাসিন্ধারা।
জানাগেছে, বালিয়াকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ তারিকুজ্জামান ২০২০ সালের ২৫ আগষ্ট বালিয়াকান্দি থানায় যোগদান করেন। যোগদানের পরই ঘোষণা দেন থানায় আসতে কোন দালাল লাগবে না। পুলিশী সেবা পেতে কোন টাকা পয়সা লাগবে না। এরই আলোকে কোন প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই পুলিশী সেবা পাচ্ছে সাধারণ মানুষ। তিনি যোগদানের পর থেকে এ পর্যন্ত ৩৮টি পুলিশ ভেরিভিকেশনে কোন টাকা ও ভোগান্তি ছাড়াই হাতে পেয়েছে।
ইসলামপুর ইউনিয়নের মঠবাড়ীয়া গ্রামের আফরোজা আক্তার তার ফেইসবুকে বলেন, আস্সালামু আলাইকুম। ধন্যবাদ জানাই বালিয়াকান্দি থানা পুলিশদের কে এবং বালিয়াকান্দি থানার ওসি কে,যিনি এবং যারা আমাকে কোন রকম হ্যারেজমেন্ট এবং টাকা ছাড়া “পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট” পেতে সাহায্য করেছেন। সত্যি আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ।
তার মতো মঠবাড়ীয়ার রুমা খাতুন, পাইককান্দির ভ্যান চালক আলমগীর শেখ, দোনাইখালীর বুলবুল আহম্মেদ, দক্ষিণবাড়ীর আব্বাস মন্ডল, নারুয়ার সাইফুল ইসলাম, শালকীর আঃ আলীম, ভররামদিয়ার হোসেন আলীসহ ৩৮জন কোন প্রকার ভোগান্তি ও টাকা পয়সা ছাড়াই পুলিশ ক্লিয়ারেন্স হাতে পেয়েছেন।
শালকীর আব্দুল আলীম বলেন, আমার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পেতে কেউ কোন টাকা চায়নি। আমি কোন প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই হাতে পেয়েছি। আসলে মনে হয়েছে পুলিশ সেবা দিতে আমাদের জন্য প্রস্তুত। শুধু দালাল ছাড়া গেলেও কাজ হয়।
বালিয়াকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ তারিকুজ্জামান বলেন, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান ও রাজবাড়ী পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান,পিপিএম স্যারের অনুপ্রেরণা ও সততাকে বুকে ধারণ করে জনসেবার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। প্রমান করতে চাই টাকা ছাড়াও পুলিশী সেবা পাওয়া যায়। তবে এলাকার সকল স্তরের জনগণকে সহযোগিতা করতে হবে।
তিনি বলেন, একজন সচেতন নাগরিক সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখি তিনি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পেতে কোন প্রকার ভোগান্তি ও টাকা ছাড়া পেয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন। তার এ স্ট্যাটার্স দেখে ভালো লাগলো। এতে আমার কাজের স্পৃহা আরো বেড়ে গেলো। আমি যতদিন এই থানায় অফিসার ইনচার্জ হিসাবে থাকবো শতভাগ মানুষকে হয়রানীমুক্ত সেবা প্রদানে প্রতিশ্রুুতি বদ্ধ রইলাম।