রাজবাড়ী প্রতিনিধি ঃ
দেশের সর্ববৃহৎ যৌনপল্লী নামে পরিচিত রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর ভিতরে ঋতু আক্তার (২৮) নামের এক যৌনকর্মীকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। পরে স্থানীয়দের থানা পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ।
(৯ অক্টোবর) শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনর্চাজ আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার সকালে ঋতু আক্তারের শয়নকক্ষ থেকে রক্ত গড়িয়ে দরজার নিচ দিয়ে বাইরে চলে আসলে তারা ঘরে গিয়ে তার গলাকাটা মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে। পরে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
স্থানীয়রা আরও জানান, ঋতু আক্তার যৌনপল্লীর সুজন খন্দকার নামে এক সাংবাদিকের কথিত স্ত্রী। সে যৌনপল্লীর সুজন খন্দকারের বাড়িওয়ালি হিসেবে তার মেয়েকে নিয়ে একসাথে থাকতো। ঘটনার রাতেও ঋতুর ঘরে বাড়িওয়ালা সুজন খন্দকার এসেছিল।
নিহত ঋতু আক্তারের মেয়ে বলেন, দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে তার মা কথিত এক সাংবাদিক সুজন খন্দকারের বাড়িওয়ালি হিসেবে থাকতো। গত রাতেও সুজন তার মায়ের ঘরে আসে। সে তখন পাশের ঘরেই ছিলো। পরে সে ঘুমিয়ে যায়। সকাল উঠতে দেরি হলে স্থানীয়রা তাকে ডেকে বলে তোর মাকে কারা যেন জবাই করে হত্যা করেছে। তার মায়ের সাথে কারও কোনো শত্রুতা ছিল না বলে জানান তিনি।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনর্চাজ আব্দুলাহ আল তায়াবীর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, স্থানীয়দের খবরে যৌনপল্লীতে গিয়ে ঋতু আক্তার নামের এক নারীর জবাই করা লাশ উদ্ধার করি। তার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে প্রথমে এলোপাতাড়ি কোপানো হয় এবং পরে জবাই করে তাকে হত্যা করা হয়। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে তদন্ত করে হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করা হবে।