এস,এম রাহাত হোসেন ফারুক, রাজবাড়ী প্রতিনিধি ঃ রাজবাড়ীর সদর উপজেলার মিজানপুর ও বরাট ইউনিয়নের গোদারবাজার অংশে কংক্রিট দিয়ে নির্মিত সিসি ব্লকের ১৫০ মিটটার অংশে ব্যাপক ভাঙনের পর শুক্রবার সকালে গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ফেরিঘাট এলাকায় দ্বিতীয় দফায় ভাঙন শুরু হয়েছে।
ভাঙনে নদী তীরবর্তী প্রায় ৩০মিটার অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। হুমকির মধ্যে রয়েছে শত শত বসতবাড়ী। ভাঙন আতঙ্কে নদীপার থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে তাদের ঘরবাড়ী। ভাঙন প্রতিরোধে অনেক আকুতি, মানববন্ধন, স্মারকলিপি সহ নানা কর্মসূচী পালন করা হলেও কার্যত ভাঙন রোধে কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিনে সকালে দৌলতদিয়া এলাকায় দেখা যায়, দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট ও ১নং ফেরিঘাটের এলাকায় মজিদ শেখর পাড়ার ৩০মিটার অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। সকাল সাড়ে ৬টা থেকে শুরু হওয়া ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। দৌলতদিয়া ইউনিয়নের মজিদ শেখের পাড়ার থেকে আবু মেম্বার, আবুল মন্ডল, সোহেল মুন্সী, মোকছেদ মন্ডল, উজ্জল সরদারের বাড়ী সহ বেশ কিছু বাড়ীঘর সরিয়ে নিচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা চাঁন্দু মোল্লা বলেন, অব্যাহত পদ্মার ভাঙন রোধে কার্যকরি কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড। কয়েক বছর ধরে শুনে আসছি ভাঙন রোধে কাজ করা হবে কিন্তু কিছুই হয়নি।
স্থানীয় হানেফ মন্ডল বলেন, কয়েক বছর পূর্বে ৪-৫ কিলোমিটার দূরে ছিলো পদ্মা নদী। সেখান থেকে শুনে আসতেছি ভাঙন রোধে কাজ শুরু হবে। বালুর বস্তা ছাড়া এখানে কোন কাজ হয়নি।
রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম বলেন বলেন, পদ্মার ভাঙন রোধে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। নতুন করে যে ভাঙন শুরু হয়েছে সেই ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করা হবে।