বাগেরহাটের ফকিরহাটে এক গ্রামপুলিশের বিরুদ্ধে স্বামী পরিত্যক্তা এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। নির্যাতনের শিকার ওই নারী বাদী হয়ে বুধবার রাতে ফকিরহাট থানায় ওই মামলা দায়ের করেন। তবে পুলিশ এখনো ওই আসামিকে আটক করতে পারেনি। ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ওই নারীকে বৃহস্পতিবার বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। ধর্ষণ মামলার আসামি আবুল কালাম শেখ ওরফে আবু (৩৫) বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার দেয়াপাড়া গ্রামের সালাম শেখের ছেলে। তিনি শুভদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের গ্রামপুলিশ হিসেবে কর্মরত। মামলার এজহারে ওই নারী উল্লেখ করেন, ১০ বছর আগে তার প্রথম স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয় এবং প্রথম ঘরে তার দুটি ছেলেমেয়ে রয়েছে। একটি জুটি মিলে তিনি শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। জুট মিলে আসা যাওয়ার পথে প্রায় সাত মাস পূর্বে আবুল কালামের সাথে তার পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে আবুল কালাম তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয় এবং মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিয়ের কথা বললে সে নানারকম টালবাহনা করতে থাকে। বিয়ে করবে বলে তার কাছে ১১ হাজার টাকা নেয়। এর পরেও তাকে বিয়ে করেনি। বাদী এজাহারে আরো উল্লেখ করেছেন, আসামি ৪ জুলাই রাত ১০টার দিকে তাকে মোবাইল ফোন করে বাড়িতে নিয়ে যাবে বলে শুভদিয়া কাউন্সিলের শহীদ মিনারের কাছে আসতে বলে। পরদিন রাত একটার দিকে সে সেখানে গেলে আসামি তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ফকিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাঈদ মো. খায়রুল আনাম জানান, ওই নারীর অভিযোগ পাওয়ার পর মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য নারীকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে এবং আসামি গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। এদিকে অভিযোগের বিষয়ে গ্রামপুলিশ আবুল কালাম ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাকে হয়রানি এবং টাকা আদায় করার জন্য তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা হয়েছে।