মংচিন থান,বরগুনা প্রতিনিধি ::
বরগুনার তালতলীতে সংখ্যালঘু ও রাখাইন সম্প্রদায়ের আদিবাসীর জমি জালিয়াতির মাধ্যমে ভূয়া চুক্তি পত্র করার অভিযোগে রাসেল মিয়া (২৮) কে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে উপজেলার খোট্টারচর এলাকা থেকে তালতলী থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে থানা পুলিশের চৌকস অভিযানে মাছের ঘেরের কাছ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়নের খোট্টারচর এলাকায় রাখাইন সম্প্রদায়ের মি.মংতাহানের ৫ একর সম্পত্তি নিয়ে ১টি মাছের ঘের রয়েছে। ২০১৪-১৭ পর্যন্ত ৩ বছরের জন্য রাসেল মিয়ার নানা আ.সত্তার সে জমি মি.মংতাহানের কাছ থেকে লিজ নেয়। ২০১৮ সালে রাসেল মিয়া মৌখিক ভাবে ১লক্ষ টাকা দেয়ার কথা বলে ২ বছরের জন্য লিজ নেয়। পাওনা টাকা না পেয়ে মি.মংতাহান রাসেল মিয়াকে ঘেরের জমি ছেড়ে দিতে বল্লে বিভিন্ন টালবাহানা করে এবং পরবর্তীতে পাওনা টাকা দিতে অস্বীকার করে।
এবং রাসেল মিয়া তার সহযোগীদের নিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে মি.মংতাহানের স্বাক্ষর নকল করে ১০০ টাকার ১টি নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প (নং ক হ- ৬১৬২২৮৩) জালিয়াতি করে মৎস চাষের ঘেরের চুক্তিপত্র তৈরি করে। মি.মংতাহান পাওনা টাকা চেয়ে ঘেরটি পূনরায় ফিরিয়ে দিতে বল্লে রাসেল মিয়া মি.মংতাহানকে এ চুক্তিপত্র দেখায়।
ভুক্তভোগী মি.মংতাহান জানায়, রাসেলের নানা আমার থেকে ৩ বছর মেয়াদে মাছের ঘেরটি লিজ নিয়েছিলো। মেয়াদ শেষে রাসেল মৌখিক ভাবে অনুরোধ জানালে ১লক্ষ টাকার চুক্তিতে ২ বছরের জন্য তাকে আমি ঘের দিয়ে থাকি। পাওনা টাকা নিয়ে টালবাহানা করে আসলে তাকে আমি ঘের ছেড়ে দিতে বল্লে সে আমায় একটি ভূয়া চুক্তিপত্র দেখায়। সেখানে আমার স্বাক্ষর নকল করা হয়েছে। পরবর্তীতে আমি প্রতারক চক্রের ৫ জনকে আসামি করে পেণাল কোর্টে মামলা দেই।
তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে এবং প্রতারক চক্রের মূল হোতা রাসেলকে গ্রেফতার করে কোর্টে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের প্রচেষ্টা চলছে।