গাজীপুরে মোবাইল চোর সন্দেহে মানসিক প্রতিবন্ধী এক নারীকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে এক বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। নিহতের নাম এসনেহার (৪০)। তিনি ভোলা জেলার লালমোহন এলাকার সুলতান মিয়ার মেয়ে এবং ভ্যান চালক হোসেন আলীর স্ত্রী। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের টঙ্গী রেল ষ্টেশন এলাকার নোয়াগাঁও নাসিরের বাড়িতে সপরিবারে ভাড়া থেকে এলাকায় রিক্সাভ্যান চালান হোসেন আলী। শুক্রবার সকালে মহানগরীর গাছা থানাধীন কুনিয়া পাছর এলাকার সোনাবাড়ি কবরস্থান সড়কের মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ মিয়ার বাড়িতে যান হোসেন আলীর স্ত্রী মানসিক প্রতিবন্ধী এসনেহার। সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামার সময় এসনেহারকে চোর সন্দেহে আটক করে বাড়ির লোকজন। তারা এসনেহারের বিরুদ্ধে ওই বাড়ির ৬ষ্ঠ তলার এক ভাড়াটিয়ার কক্ষ থেকে মোবাইল চুরির চেষ্টা করার অভিযোগ তুলে। এ সময় বাড়ির লোকজন হাত-পা বেঁধে এসনেহারকে বেধড়ক মারধর করে।খবর পেয়ে পুলিশ গুরুতর আহত এসনেহারকে তালাবদ্ধ একটি কক্ষ থেকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় তায়েরুন্নেছা হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে দুপুরে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে এসনেহারকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের লাশ বিকেলে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) ডিসি (ক্রাইম) মোহাম্মদ ইলতুৎ মিশ নিহতের স্বামীর উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, গত কয়েকদিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীনতায় ভুগছিল এসনেহার। ঘটনার সময় মোবাইল চুরির চেষ্টা করার সন্দেহে বাড়ির লোকজনের পিটুনিতে ওই নারী নিহত হন। এ ঘটনায় কয়েকজনকে আটক করে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।