পিরোজপুরের নাজিরপুরে চাঞ্চল্যকর লামিয়া আক্তার (১৮) নামের এক তরুণীর কঙ্কাল উদ্ধার ও ওই হত্যা মামলার প্রধান আসামি স্বামী মো. তরকিুল ইসলামকে (২২) ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছেন পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) রাতে তাকে পিরোজপুরে নিয়ে আসা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন পিবিআইর ইন্সপেক্টর মো. বায়েজিদ আকন।
গ্রেফতার তরিকুল ইসলাম উপজেলার সদর ইউনিয়নের চিথলিয়া গ্রামের মিজান খানের ছেলে। আর নিহত লামিয়া একই গ্রামের দিনমজুর নজরুল ইসলামের কন্যা ও উপজেলা সদরের সরকারি বঙ্গমাতা কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী।
তিনি বলেন, একটি চিরকুটের ভিত্তিতে গত ১৩ মার্চ স্থানীয় মান্নান শিকদারের নতুন বাড়ি তৈরির জন্য রাখা বালুর ভেতর থেকে একটি কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়। ওই কঙ্কালটি ওই নিঁখোজ তরুণীরর। পরে গত ১৬ মার্চ পিবিআই মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব নেন। পিবিআই অভিযান চালিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে তাকে ঢাকার মোহাম্মাদপুর থানার জাফরাবাদ এলাকার সাদেক খান রোডস্থ জনৈক মোহাম্মাদ আলী খানের ভাড়া বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করেন।
পিবিআই বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে সে তার স্ত্রী লামিয়াকে হত্যার কথা স্বীকার করে জানায়, পারিবারিক অমতে বিয়ের কারণে গত ৬ ডিসেম্বর রাতে লামিয়ার সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার কথা জানায়। এতে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি এক পর্যায়ে ওই রাতের ১২টার দিকে লামিয়াদের বাড়ির পাশ্ববর্তী একটি দোকানের পাশে বসে তাকে গলা টিপে হত্যা করে লাশ খালে ফেলে টেনে ওই বালুর মাঠে নিয়ে যায়। সেখানের পাশের একটি গোয়াল ঘর থেকে বেলচা এনে তা দিয়ে বালু খুঁড়ে সেখানে ওই তরুণীকে পুতে রাখে। পরবর্তীতে মানুষিক অসুস্থতায় ভুক্তভোগীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে গত ১১মার্চ আবার ওই পুতে রাখা লাশটি উঠানোর চেষ্টা করে ও তার বাড়িতে চিরকুট রেখে আসে।
উল্লেখ্য, গত ৬ ডিসেম্বর থেকে লামিয়া নিঁখোজ হয়। এর পর ৭ ডিসম্বের লামিয়ার মা রাজিয়া বেগম বাদী হয়ে তরুণীর স্বামী তরিকুল ইসলামকে (২২) প্রধান করে ৭ জনকে নাম উল্লেখ করে ৯ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।