নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়নের মডেলবাজারে। এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছে।
পুলিশ ইতোমধ্যে মামলার এক নম্বর আসামি আকবরকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে। তিনি বাঘবেড় গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে। সোমবার তাকে পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাছাড়া নির্যাতিত মেয়েটিকেও ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত আকবর সান্দিকোনা ইউনিয়নের মডেলবাজারের একটি দোকানঘরে বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়াতেন। নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রীও অন্যদের সঙ্গে সেখানে পড়ত। এ অবস্থায় বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে আকবর রবিবার সকালে প্রাইভেটের নির্ধারিত সময়ের আগেই ওই ছাত্রীকে ডেকে আনে। এক পর্যায়ে তিনি কম্পিউটার কক্ষে নিয়ে ওই ছাত্রীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। এরপর আকবর চলে গেলে জুয়েল (২৮) নামে তার আরেক সহযোগীও মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। আর এতে টিটু মিয়া (৩৮) নামে অপর সহযোগী সহায়তা করে। পরে ঘটনাটি জানাজানি হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।
এদিকে পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে রবিবার রাতেই কেন্দুয়া থানায় একটি মামলা করেছেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে (নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণ ও সহায়তা করার অপরাধ) দায়ের করা ওই মামলায় আকবর, জুয়েল ও টিটু মিয়াকে আসামি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে মামলার এক নম্বর আসামি আকবরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে অন্যরা পলাতক।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান কালের কণ্ঠকে জানান, মামলার এক নম্বর আসামি আকবরকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে অন্যরা পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। গ্রেপ্তারকৃত আকবরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে সোমবার আদালতে পাঠানো হয়েছে। সেইসঙ্গে একইদিন ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য মেয়েটিকেও নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।