মাদারীপুরের শিবচরে চতুর্থ শ্রেণির এক মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আসামি পুলিশের কাছে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন ওসি।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মাদবরচর ইউনিয়নের সাড়ে এগার রশি লপ্তি কান্দি গ্রামের এক ওমান প্রবাসী নারীর শিশু কন্যা তার নানিবাড়ি থাকে। তাদের এক দূর সম্পর্কের আত্মীয় মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলার মো. সালাউদ্দিন (৩৮) একই এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। একই এলাকায় থাকার সুবাদে সালাউদ্দিন ওই শিক্ষার্থীর বাড়িতে প্রায়ই আসা-যাওয়া করতেন। সালাউদ্দিন গত ১ জুলাই বাড়িতে ওই শিক্ষার্থীর নানির অনুপস্থিতিতে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের কথা কাউকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেন তিনি। এরপর গত ১৫ জুলাই আবারো ওই শিক্ষার্থীকে সালাউদ্দিন দ্বিতীয়বার ধর্ষণ করেন। পরবর্তীতে গত ২৯ জুলাই আবারো ওই শিশুকে ধর্ষণ করেন তিনি।
ওই দিন শিশুটি তার নানিকে বিষয়টি জানায়। পরে নানি-মাসহ আত্মীয়রা মিলে গত মঙ্গলবার রাতে ওই শিক্ষার্থীর নানি বাদী হয়ে সালাউদ্দিনকে আসামি করে শিবচর থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ বুধবার সকালে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত সালাউদ্দিনকে সাড়ে এগার রশি লপ্তি কান্দি গ্রামের নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে।
শিবচর থানার এসআই বিষ্ণপদ হীরা বলেন, অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত সালাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, অভিযোগ পেয়ে ধর্ষক সালাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ওই শিক্ষার্থীকে একাধিকবার ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। আসামিকে জেল হাজতে প্রেরণের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।