সজল রায় খোকসা প্রতিনিধিঃ কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলা এলজিইডি অফিসে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কর্মরত গোলাম সরোয়ার এর নামে এলাকায় নানান অভিযোগ উঠে এসেছে। জানা যায় তিনি কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলার গোপগ্রাম ইউনিয়নের আব্দুল হক ড়াঃ এর বড় ছেলে গোলাম সরোয়ার খোকসা এলজিইডির কম্পিউটার অপারেটর হিসাবে চাকুরী করেন। তিনি চাকুরীর পাশাপাশি খুলেছে এক চেম্বার যা কিনা কসাইখানা,গোপগ্রাম বাজারের পাশেই খুলেছে ড়াঃ চেম্বার সেখানে নিজেই করছে মহিলাদের ডেলিভারি সহ বিভিন্ন জটিল ও কঠিন রোগের চিকিৎসা। এমনি এক চাঞ্চল্য খবর ছড়িয়ে পড়ে এলাকাতে করোনার রেশ না কাটতেই স্বাস্থ্যবিধিও সামাজিক দূরত্ব মাস্ক পরিধানে অগ্রাহ্য, চিকিৎসক । দীর্ঘ দিন যাবত চিকিৎসা সেবার নামে প্রতারণা করে আসছে। গরীব, অসহায় রোগীদের সাথে এ বিষয়ে কথা বললে , জানা যায়, গোপগ্রাম ইউনিয়নের ডাক্তার আব্দুল হকের বড় ছেলে গোলাম সরোয়ার ও খোকসা উপজেলার এলজিইডিতে কর্মরত থাকা অবস্থায় নিয়মিত অফিসে না আসলেও টাকার নেশায় বিভিন্ন জটিল ও কঠিন রোগের চিকিৎসা দিয়ে আসছে একইভাবে। তার বাবা হক ডাক্তার বাপ বেটা মিলে অসহায় রোগীদের সাথে করছে প্রতারণা, ভুয়া চিকিৎসকের প্রতারণার শিকার হচ্ছে এলাকাবাসী, কিন্তুু এবার অপচিকিৎসায় এক উদীয়মান কৃষকের পায়ে পচনের অভিযোগ উঠে এসেছে। চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় মিজান (৩০)নামে এক ব্যক্তির পায়ে ইনফেকশন হয়ে পচন ধরেছে। গ্রাম্য রক্তচোষা ডাক্তার হক ও গোলাম সরোয়ার নামে নানান অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। জানাযায় সাংবাদিকগণ বিষয়টা নিয়ে নড়াচড়া করলেও এ পর্যন্ত কোন সুরাহো হয়নি। এ বিষয়ে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীরা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। এই গ্রাম্য ডাক্তার অর্থের লোভে নিরীহ মানুষের প্রাণ নিয়ে করছে ব্যবসা। গত এক মাসে আগে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরতর আঘাত পেয়ে ডাক্তার গোলাম সরোয়ারের কাছে চিকিৎসা নিতে যাই, তার দেওয়া ভুল চিকিৎসায় আমার পায়ে পচন ধরেছে। ,চিকিৎসা বাবদ এ পর্যন্ত আমার ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে এখন পর্যন্ত আমার পায়ের ক্ষতস্থানে ইনফেকশন রয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীরা এই গ্রাম্য ভুয়া ডাক্তারের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে এলজিইডি কম্পিউটার অপারেটর গোলাম সারোয়ারের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।