নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৩৭ কোটি টাকা মেগা প্রকল্পের অধীনে ১০ তলা একাডেমিক ভবনের কাজ চলমান রয়েছে। ৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এই ভবনের কাজ যৌথভাবে করছে মাইশা ও হোসাইন কন্সট্রাকশন গ্রুপ। এই কাজের জন্য পাঁচটি রড ব্যবহারের অনুমতি দেয় কর্তৃপক্ষ।
এই মেগা প্রকল্পের কাজে অনুমোদনহীন রড ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, কর্তৃপক্ষ বিষয়টি অবহিত হওয়ার পর ঘটনাস্থলে তদারকি করতে গেলে ঠিকাদারদের সঙ্গে বাগবিতন্ডা হয়। পরে এই কাজের দায়িত্বে থাকা উপ-প্রধান প্রকৌশলী নাসিমুজ্জামান ঠিকাদারকে ডেকে পাঠান।এ বিষয়ে উপ-প্রধান প্রকৌশলী নাসিমুজ্জামান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘তারা যেভাবে রড নিয়ে আসছে সেভাবে নিয়ে যাবে। এই রড ব্যবহার করা যাবে না। রডটি টেস্ট করার বিষয়েও এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।
এদিকে ৫৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ছাত্রদের ১০ তলাবিশিষ্ট একটি হলের কাজও চলমান রয়েছে। এই কাজের জন্য ৫০ ফিট পাইলিংয়ের কথা ছিল। কিন্তু ৩৫ থেকে ৪০ ফিট যাওয়ার পর মাটির সমস্যার কারণে পাইল প্রবেশ করানো সম্ভব হচ্ছে না বলে জানা যায়। অবশিষ্ট পাইলগুলো কেটে ফেলা হচ্ছে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আসলে গত ১৮ জানুয়ারি কাজ বন্ধের নিদের্শনা দেয় কর্তৃপক্ষ। পরে নতুন করে মাটি ও পাইল পরীক্ষায় পাঠায় কর্তৃপক্ষ। মাটি পরীক্ষার পর ৪০ ফিট পাইলিংয়ের অনুমতি দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যেভাবে পারছে কাজগুলো করে যাচ্ছে। কর্তৃপক্ষ কাজগুলো সঠিকভাবে তদারকি করছে না। আমাদের কাছে মনে হচ্ছে নিম্নমানের কাজ হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘এই ঘটনার কারণে ঠিকাদারকে জবাদিহির আওতায় আনা হবে। রডগুলো কোনো ভাবেই কাজে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।’