ফজলার রহমান গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ– আসন্ন পলাশবাড়ী পৌর সভা নির্বাচনে নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী গোলাম সরোয়ার প্রধান বিপ্লব বলেছেন দীর্ঘ ১৮ বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে পলাশবাড়ী পৌর সভা নির্বাচন।
একটি বিশেষ মহল আইনের বেড়া জালে আটকে রেখেছিল জনগনের ভোটাধিকার।জনগনের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার লক্ষে আমি উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলাম। এরপর লাল ফিতায় আটকে রাখা পৌর সভার ফাইল নিয়ে দৌড়াতে হয়েছে মহামান্য হাইকোর্ট, সচিবালয়,এমন কি নির্বাচন কমিশন পর্যন্ত। শুধু তাই নয় দুই বছর আইনী লড়াইয়ের পাশাপাশি জনগনকে সাথে নিয়ে অনেক আন্দোলন সংগ্রাম করার পর পৌর সভার প্রজ্ঞাপন ঘোষণা করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।সর্বশেষ গত ৩ নভেম্বর ২০২০ পৌরসভার তফসিল ঘোষনা করে নির্বাচন কমিশন।এরই ফলশ্রুতিতে আগামী ১০ ডিসেম্বর পলাশবাড়ী পৌরসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় ভোটারদের সাথে মতবিনিময়, উঠান বৈঠককালে তিনি এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি আরো বলেন,আমি বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ পরিবারের একজন সন্তান,আমার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আলহাজ্ব সাকোয়াতজ্জামান বাবু ছিলেন সদর ইউনিয়নের ৪ বারে নির্বাচিত চেয়ারম্যান।
আমার চাচা শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা। আমি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, গাইবান্ধা জেলা বাস মিনিবাস কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের একাধারে তিন বার নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক। দুঃখ জনক হলে ও সত্য বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ থেকে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন চেয়ে আমি ব্যার্থ হয়েছি।কিন্তু জনগনের ভালোবাসা শ্রদ্ধা সম্মান আমাকে অভিভূত করেছে।তারাই আমাকে মনোনীত করেছে মেয়র প্রার্থী হিসাবে।
সেই ভালোবাসা নিয়েই আমি পৌর নির্বাচনে (স্বতন্ত্র) প্রার্থী হিসাবে মেয়র পদে নির্বাচন করছি।
ইতিহাস স্বাক্ষী যারা পৌর আন্দোলনে আমাকে সহযোগিতা করে ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে সর্বদা সহযোগিতা করেছেন তারা আমার পাশে সব সময় আছেন থাকবেন।
যারা পৌর সভার বিরোধিতা করেছেন তারাই আজ পৌর সভার প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করছেন।
আমার বিশ্বাস ১০ ডিসেম্বর নির্বাচনের দিন জনগন আমার কর্মের মুল্যায়ন করবে।যারা তরুন প্রজন্মকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করেছিল ব্যালটের মাধ্যমে তরুনরাই তার জবাব দেবে।
আমি নির্বাচনে বিজয়ী হলে পলাশবাড়ী পৌর সভাকে একটি মডেল পৌরসভা হিসেবে উন্নত করবো ইনশাআল্লাহ।